আমরা সবাই তো শিম খাই। কিন্তু আমরা কি জানি,শিমের অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা কয়েছে। যেকোনো বয়সের মানুষ,গর্ভবতী মায়েরা এবং কিডনি রোগীরা শিম খেলে কি তা আমরা অনেকেই জানি না।আর তাইতো শিম খেলেও এর অবিশ্বাস্য উপকারিতা গুলো আমাদের অজানা থাকে। আজকের পোষ্টে সেসব অজানা উপকারিতা গুলোর কথাই জানাবো।
তাই পোষ্টটি শেষ পযন্ত ভালো করে পড়ুন।
শীতকালীন সবজি হলেও বর্তমানে প্রায় সারা বছরই শিম পাওয়া যায়। আমাদের দেশে অনেক ধরনের শিম পাওয়া যায়। রাজশাহীতে শিমের অনেক ভালো ফলন হয়। শিম সকলের প্রিয় সবজি। শিতকালে জানা এই সবজিটির স্বাদে আলাদা। শিম দিয়ে ভাজি,ভর্তা,তরকারি সব ধরনের রেসিপি রান্না করা যায়।
গবেষণা বলছে শিমের পুষ্টিগুণ শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় না,শরীরে বাসা রোগও নিরাময় করে। শিমে অনেক খাদ্য আস রয়েছে। নিয়মিত শিম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দুর হয়ে যায়।এমনকি নিয়মিত সিম খেলে কোলোন ক্যান্সারো ভালো হয়ে যায়।শিমে এমাইনো এসিড,হাইড্রো রাসায়নিক এসিড,ডিটামিন সহ অনেক উপাদান রয়েছে।এ সকল উপাদান বমি বমি ভাব,পেট ব্যাথা নিরাময় করতে বিশেষ সহায়তা করে। ডায়রিয়া সারাতেও ভালো কাজ করে শিম।এসব সমস্যায় ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম শিম দিয়ে ঝোল রান্না করে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।শিমের বীজে প্রচুরপরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।যারা মাছ মাংশ খেতে পছন্দ করেন না তারা শিমের বীজ খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন।গর্ভবতী মা ও শিশুর প্রোটিনের ঘাটতি পূরন করতে পারবেন। গর্ভবতী মা ও শিশুর পুষ্টির ঘাটতি পূরনে শিমের জুড়ি নেই।তাই গর্ভবতী মায়েদের বেশি পরিমাণে শিম খাওয়া উচিত। শিমের বীজে এন্টি অক্সিডেন্ট ও এন্টি ইনফ্লেমেটরি উভয় উপাদান রয়েছে এই উপাদান গুলো হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করে।নিয়মিত সিম খেলে কোলষ্টরলের মাত্রা কমে এবং শ্বর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে তাই শিম খেলে ডায়াবেটিক্স নিয়ন্ত্রণে থাকে,হৃদরোগের ঝুৃঁকি কমে। শিম একটি খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ সবজি। শিম চুল পরা কমিয়ে দেয় ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। শিম ও শিমের বীজ সৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। শিমের দানায় ভিটামিন বি উৎকৃষ্ট পরিমাণে রয়েছে।যারা কিডনি জটিলতায় ভূগছেন তারা শিমের বীজ খেতে পারবেন। গলা ফুলে গেলে ২০-৩০ ফোটা শিম পাতার রস পানিতে মিশিয়ে খেলে উপকার মিলবে।
কেমন লাগলো আজকের টিপস্ জানাবেন।
ধন্যবাদ,
পোষ্টটি পড়ার জন্য,
আপনারা ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
UpWeberBD এর সাথেই থাকুন,
ধন্যবাদ।