মাদক কাকে বলে এবং এটির ভয়াবহতা সম্পর্কে জানুন

بسم الله الرحمن الرحيم
আসসালামু আলাইকুম

বিষয় : মাদক এর পরিচিতি

আমি মনে করি, আসক্তি যেকোনো কিছুই মারাত্তক। তারমধ্যে মাদকাসক্তি সবচেয়ে বেশি মারাত্তক। মাদক হচ্ছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট একটি পথ।

একজন ডাক্তারের মতে,ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ক্যামিকেল জাতীয় যাই গ্রহণ করবেন তাই মাদক। এছাড়াও এর আরো সঙ্গা রয়েছে, মাদকাসক্তি মানে উত্তেজনাপূর্ণ অনুভূতি পেতে যে কোনও ধরণের ক্ষতিকারক ওষুধ সেবন করার জন্য একটি আকর্ষণ। সাধারণত এটি নির্ধারিত ওষুধ ব্যবহার করার একটি খারাপ অভ্যাস হিসাবে তৈরি হয়। আফিম, হেরোইন, মরফিন, ইয়াবা, ফেনসিডিল,মারজুয়ানা,ভাং,দেশী এবং বিদেশী পানীয় মদ,গাজা,সিগারেট ইত্যাদি আমাদের দেশে গ্রহণযোগ্য প্রধান পানীয় মাদক।

এর বেশ কয়েকটি কারণ আছে। প্রথমত হতাশা মাদকের আসক্তির জন্য দায়ী। দ্বিতীয়ত, পারিবারিক সুসম্পর্কের অভাবও এর জন্য দায়ী। তৃতীয়ত, প্রেমে ব্যর্থতা এর আসক্তি সৃষ্টি করতে পারে। তদুপরি, একজন খারাপ সঙ্গীও এই অভ্যাস গঠনে সহায়তা করে। মাদকাসক্তির অনেক খারাপ প্রভাব রয়েছে। একজন মাদকসেবকের মতে, ড্রাগগুলি একধরণের স্বপ্নের মতো অনুভূতি তৈরি করে এবং মাদক গ্রহণকারী কিছু মুহুর্তের জন্য সবকিছু ভুলে যায় এবং মায়াময়ী জগতে জীবনযাপন করে। এটি কেবল আসক্তদের নয়, সমাজ ও জাতির জন্য হুমকির কারণ। ড্রাগগুলি মানবদেহের উপর ভয়ঙ্করভাবে প্রভাব ফেলে। অস্থিরতা অনুভব করে এবং তাদের স্নায়ুতন্ত্র ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায় যার ফলে তাদের মস্তিষ্কের অনেক বড় ক্ষতি হয়।

ড্রাগগুলি আসক্তিকে ক্ষয় এবং মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। মাদকদ্রব্য মাদক কেনার জন্য অর্থের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হলে সে বিভিন্ন ধরণের অসামাজিক কর্মকান্ডে জরিয়ে পরে করে । এরা দিন দিন কর্মঅক্ষম হয়ে পরে যার জন্য অর্থের যোগান দিতে গিয়ে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এখন সমস্যাটি দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সরকারী ও বেসরকারী উভয় এজেন্সিকে এ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এগিয়ে আসা উচিত। পিতামাতারা তাদের আসক্ত পুত্র এবং কন্যাকে নিরাময় করতে পারে এবং তাদেরকে সমাজে সুখী ও শান্তিময় জীবনযাপন করতে সহায়তা করতে পারে।

মাদকদ্রব্য থেকে নিস্থার পেতে হলে পারিবারিক সচেতনতাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারই পারবে মাদক থেকে দূরে রাখতে। পরিবারের মা-বাবা যদি সন্তানের খোঁজখবর রাখেন তার সন্তান কি করছে কোথায় যাচ্ছে কার সাথে মিশছে যদি সেটা খেয়াল করেন তাইলে অবশ্যই তার সন্তান মাদক থেকে ধুরে থাকতে পারবে। পরিবার যদি তাদেরকে মানসিক চাপ না দিয়ে তাকে ভাল করে বুঝাতে পারে তাহলে মাদকের মতো সর্বনাশা পথ থেকে নিস্তার পেতে সহজ হবে। যুবকদের মাদকাসক্ত হওয়ার আরেকটি প্রধান কারণ হলো, প্রেমে ব্যার্থতা যখন তার সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় তখন সে মাদক সেবন করে।

আর এই পদ্ধতি থেকে মাদক ছারতে হলে তার সেই মানুষই পারবে। আবার মাদক সেবনের কারণ আরেকটা হলো মাদকাসত্ব বন্ধুদের সাথে চলাফেরা। যখন একজন তার খারাপ বন্ধুর সাথে চলাফেরা করে তখন সেও তার বন্ধুর পাল্লায় পরে মাদক সেবনে জরিয়ে যায় ধীরে ধীরে। মাদক যারা সেবন করে তারা যেকোনো ধরনের খারাপ কাজ করতে দ্বিধা করে না। তারা তারা বিভিন্ন অপরাধমুলক কাজ করে। কিন্তু সেই সময় তাদের কোনো হুশই থাকে না। তারা অনেক সময় তাদের স্ত্রী-সন্তানের উপরও হাত তুলে তাই পারিবারিক অশান্তি তৈরি হয়। এমন কি এই ঘৃণ্য প্রথা আল্লাহও নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন।

কুরআনের মধ্যে নিষিদ্ধ ঘুষনা করে দিছেন। আমরা এই ঘৃণ্য প্রথা থেকে সবাই এড়িয়ে চলব। মাদককে এড়িয়ে চলবো। মদক বিরোধী সচেতন সমাজ গড়ে তুলবো। মাদক সেবিদের প্রতি সবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এই ঘৃণিত পথ থেকে বার করে আনতে পুর্নবাসনে কাজ করবো।.

সেমিনার,পথসভা,বিভিন্ন পন্থায় প্রচার প্রচারণা সহ সকল ধর্মীয় সভার মাধ্যমে এর ভয়াবহতা এবং এটা থেকে বাঁচতে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। সেই সাথে আইনকে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।

ধন্যবাদ

পোষ্টটি পড়ার জন্য।

আপনারা ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন

UpWeberBD এর সাথেই থাকুন।

ধন্যবাদ।

আসসালামু আলাইকুম

Leave a Comment