মেদ কমানোর সহজ উপায়:
খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম এবং ব্যস্ত জীবনযাপনের ফলে
নারী-পুরুষ উভয়ের জীবনযাত্রার চিত্র পাল্টে যাচ্ছে।
জাংকফুডের বদঅভ্যাস আর খাওয়ার অনিয়মের কারণে
শরীরে জমেছে বাড়তি ফ্যাক্ট। এতে সৃষ্টি হয় নানান রোগ।
এ নিয়ে বিপদেও পরেন সবাই। একটু সচেতন হলে আমরা
এ বিপদ থেকে রেহাই পেতে পারি সহজে। পেটের মেদ আর
শরীরের অন্য মেদকে একজিনিষ ভাবলে ভুল করবেন।
পেটের মেদ যেহেতু লিভার, কিডনি এবং অন্যান্য
অভ্যন্তরীণ অঙগের সঙ্গে লেগে থাকে তাই এটি আপনার
জন্য অনেক বড় বিপদ। এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
আমরা যা করি যে, প্রতিনিয়ত খাদ্য তালিকা থেকে খাবার
গুলো নেই। কিন্তু আমরা এটা জানিনা যে, খাবারগুলো
খাওয়ার পর তার ক্যালোরিটাকে বাড়ণ করতে হয়। অর্থাৎ,
কোনো ভাবে আমরা ওয়ার্কিং লেভেলটাকে ঠিক রাখি না।
আমরা খাদ্যাভ্যাস নিয়মিত করতে হবে এবং প্রতিদিনের
খাদ্যাভ্যাসে এ্যাটলিস্ট ৫-৬ বার মিল নিতে হবে। এরমধ্যে
ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার, তিনটা মেজোমিল এবং ইনভিটন
টাইমগুলোতে ছোট -ছোট স্ন্যাক্স নিতে হয় এবং আমরা
অনেকেই মনে করি স্থুলতা মানেই হল খাবারটাকে বন্ধ
করে দিব তাতেই আমার ওজন কমে যাবে। ব্যাপারটা কিন্তু
মুটেও সঠিক নয়। প্রথমে খাদ্যের নিয়মটা ঠিক করতে হবে।
প্রতিদিনের খাদ্যের সময়টাকে আপনার ঠিক রাখতে হবে।
তাহলে কিন্তু আপনার প্রপার ওয়েটে মেটাপলিজম হবে।
শুধু ব্যায়াম করলে পেটের মেদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে
না, খাবার দাবারের গ্রহণের বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
খাবারের সতর্কতা এবং শরীরের বিশেষ কয়েকটি ব্যায়াম
আপনার পেটের চর্বিকে কমিয়ে এবং ভবিষ্যৎে এরকম চর্বি
থেকে আপনাকে মুক্ত রাখবে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস
হাল্কা গরম পানিতে লেবু ও একটু লবণ দিয়ে শরবত তৈরি
করে খাবেন। শরবতটি খাওয়ার পর ২ বা ৩ কুয়া কাঁচা
রসুন খেলে ভালো ফল পেয়ে যাবেন। তাহলে আপনার
শরীরের ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি আরো দ্বিগুণ গতিতে
কার্যকরী হবে। সকালের নাস্তাতে অন্য খাবার কম খেয়ে
এক বাটি ফল খেলে পেটের চর্বি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
বয়স, ওজন, উচ্চতা তিনটা জিনিষ কনসিডার করে
আমাদেরকে খাবার খেতে হবে। এক্সারসাইজের কোনো
বিকল্প নেই, এখন অনেকে চিন্তা করতে পারেন কোন
ধরনের এক্সারসাইজ করব। আমি বলব যে , তাদেরকে
শুধুমাত্র প্রতিদিন নিয়ম করে ১-১:৩০ ঘন্টা হাটার জন্য।
সেই সময়টাকে যদি আপনি ভাগ করে নেন যাদের
অতিরিক্ত ওজন তাদেরকে সকালে নাস্তার পর ২০ মিনিট ,
রাতের খাবারের পর ২০ মিনিট, এবং সকালে কিংবা
বিকালে ৪৫-৫০ মিনিট হাটতে পারেন। কারণ আপনি যদি
সকালের নাস্তার পর হাটেন তাহলে আপনার ইন্সট্যান্ট
ক্যালোরিটা বার্ন হয়ে গেলো। আবার রাতের খাবারের পর
যখন হাটবেন তাহলে আপনার ইন্সট্যান্ট ক্যালোরিটা বার্ন
হয়ে যাবে। অ্যাটলিষ্ট যদি আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন টাইমে
২০ মিনিট ২০ মিনিট করে ভাগ করে নেই তাহলে কিন্তু
আমাদের এই বাড়তি ক্যালোরিটা চলে যায়। আমাদের
মধ্যে অনেকে মনে করেন যে, বেলি স্ট্রোক করলে পেটের
মেদ কমতে শুরু করে। সত্যিকার অর্থে এটা আসলে বেলি
স্ট্রোক পেশির আকৃতি সুন্দর করলেও পেটের মেদ কমাতে
খুব একটা কাজে দেয় না। পেটের মেদ কমাতে প্রয়ুজন
পুরো শারীরিক ব্যায়াম, প্রতিদিন ৪০-৪৫ মিনিটের জগিং
রক্তচলমান ফ্যাটকে ধ্বংস করে দেহে সজ্ঞিত ফ্যাট ভাঙতে
সাহায্য করে। নিয়মিত পরিকল্পনামাফিক ব্যায়াম ও
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে শুধু যে আপনাদের
পেটের মেদই কমবে তা না আপনাদের সারা দেহের মেদ
কমে গিয়ে সুন্দর ফিগার তৈরি হবে এবং-সাথে-সাথে
সুন্দর ও সুস্থ্য জীবন কাটাতে পারবেন আপনি।
ধন্যবাদ
পোষ্টটি পড়ার জন্য।
আপনারা ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
UpWeberBD এর সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ।