মরুভূমিতে দিনের বেলায় তিব্র গরম আর রাতের বেলা তিব্র শীত অনুভূত হয়ে থাকে।
এর কারণ কি আমরা জানি।
সাহারা মরুভূমিতে গড়ে এক রাতে ৭৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট পযন্ত তাপমাত্রা কমে যায়। স্বাভাবিকভাবে দিনের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট বলে রাতে তা
কমে ২৫ ডিগ্রিতে নেমে আসে। এটা শুধু এ মরুভূমির ক্ষেত্রে নয় অন্যসব মরুভূমির ক্ষেত্রে একই অবস্থা বিরাজ করে। মরু অন্চলে দিনের বেলায় তীব্র গরম
আর রাতে তীব্র শীত অনুভূতির কারণ হলো তাপের বিকিরণ। আর তাপের বিকিরণ হলো স্থানান্তর বা তাপের এক স্থান থেকে অন্যস্থানে সঞ্চালিত হয়। তাপ
সাধারণত তিনটি পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হয়।
Upweberbd.com
মরুভূমি
এগুলো হচ্ছে তাপের পরিবহন,পরিচলন আর বিকিরণ। পরিবহন আর পরিচলন পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হতে জড় মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। এক পদ্ধতিতে খুব
সহজেই একটা জড় বস্তু থেকে অন্য জড় বস্তুতে তাপ সন্চালন হয়। কিন্তু বিকিরণ পদ্ধতিতে তার দরকার পড়ে না। সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ আসে একি
বিকিরণ পদ্ধতিতে। দিনের বেলা সূর্য তাপ বিকিরণ করে আর পৃথিবী সেই তাপ শোষণ করে। যার ফলে ভূপৃষ্ট উতপ্ত হয়। ভূপৃষ্ট যত বেশি উতপ্ত হবে গরম তত
বেশি অনুভূত হবে। আর ভূপৃষ্টের তাপ বিকিরণ করে যত শীতল হবে তত বেশি শীত অনুভূত হবে। মরু অন্চলে বায়ু শুস্ক হয় আর এই শুস্ক বায়ু বিকিরণের জন্য
স্বচ্ছ পদার্থ হিসেবে কাজ করে অর্থাৎ শুস্ক বায়ুর মধ্য দিয়ে খুব সহজেই তাপ বিকিরণ হতে পারে। মরু অন্চলে দিনের বেলা তাই শুস্ক বায়ুর মধ্য দিয়ে সূর্য
থেকে বিকিরণ তাপ খুব সহজেই ভূপৃষ্টে পৌঁছায় এবং ভূপৃষ্ট উত্তপ্ত হয়। আর মরু অন্চলে একি শুস্ক বায়ুর কারণে রাতের বেলায় ভূপৃষ্ট থেকে খুব দ্রুত তাপ
নিঃসৃত বা বিকিরিত হয়। বায়ু শুস্ক থাকার কারণে তাপ খুব সহজেই বায়ু মন্ডল ভেদ করে চলে যেতে পারে। এবং তার ফলে ভূপৃষ্ট দ্রুত তার তাপ হারিয়ে শীতল
হয়ে পড়ে। তাপ বিকিরণের মাত্রা খুব বেশি হওয়াতেই মূলত দিনের বেলায় তীব্র গরম আর রাতের বেলায় তীব্র শীত অনুভত হয়।
ধন্যবাদ
পোষ্টটি পড়ার জন্য।
আপনারা ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
UpWeberBD এর সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ।