চারিদিকে ধু ধু বালুচর। যতদূর চোখ যায় শুধু উড়ন্ত বালুর ছড়াছড়ি। মরুভূমির এপাড় থেকে ওপাড় জেনো কারো দেখা মেলায় ভার। কিন্তু এই মরুভূমির মাঝে
দূর থেকে দেখা মিলবে এক জোড়া হৃদয়ের । তবে আসলেই এটা একটা রদ। দুবাইয়ের আলকাদরা মরুউদ্দানে অবস্থিত ৫০ লাখ বর্গকিলোমিটারের এই
বিশাল রদের দেখা মিলে মহাকাশ থেকেও। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে ঘন বসতিপূর্ণ এই শহরের মরুভূমিতেও রয়েছে অনেক অদেখা সৌন্দর্য।
দুবাইয়ের মরুভড়মির মাঝখানে অবস্থিত মানবসৃষ্ট একটি রদ বর্তমানে প্রেমিক জুটিদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। তার কারণ,লাভলেক নামে
পরিচিত এই রদ পুরোটাই হৃদয়ের মতো আকৃতির। তার আশেপাশের সৌন্দর্য বর্ধক জিনিসগুলো একইভাবে বানানো। আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে
আলকাদরা মরুউদ্দানে দুটি হৃদয় আকৃতির রদ এটি। শহর থেকে দূরে যতদূর চোখ যায় বিস্তৃত মরুভূমির মাঝে এ লাভলেক সত্যিকার অর্থে এটি একটি
চমৎকার মরুউদ্যান। রদটি দেখলে মাথায় অবশ্যই যে চিন্তা খেলে যাবে তা হচ্ছে কি পরিমাণ সময়,শ্রম এবং অর্থ এই সুসজ্জিত রদটির পিছনে ব্যয় করা
হয়েছে। রদটি ছাড়াও এখানে রয়েছে হাজার রকমের গুল্ম,ঝোপঝাড়,১৬ হাজার গাছ এবং অবর্ণিত বর্নিল ফুল
এসব ফুলের মধ্যে অন্যতম রেগনিয়া নামের রক্ত লাল এক ধরনের ফুল। যা স্বগৌরবে ভালোবাসার প্রতিক হয়ে দাড়িয়ে আছে। ২০১৮ সালে উন্মুক্ত হওয়া
দুবাইয়ের এই লাভ লেক মানুষের নজর কারতে শুরু করে যখন দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স হামদান মোহাম্মদ বিন রশিদ আল্ মাকতু নিজের ইনেষ্টাগ্রামে এর
একটি রিয়েল ফটো আপলোড করেন। সঙ্গে সঙ্গে ক্যাপশনে লিখে দেন, আপনাদের সবার জন্য।
যদিও মধ্যপ্রাচ্চে লাভলেক একটি জনপ্রিয় লাভলেক পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কিন্তু এর আসল সৌন্দর্য বুঝতে হলে আপনাকে অন্তত ৫০ মিটার উপর থেকে
এর পরিধি পরখ করতে হবে। তা না হলে আপনার মনে হতে পারে এটি একটি নিছক বাঁধানো রদ।
আপনি হয়তো চাইবেন একবার হেলিকপ্টারে করে এটি দেখতে কিংবা উপর দিয়ে একটি ড্রোন উড়িয়ে নিয়ে এর আসল সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কিন্তু তার
জন্য অনুমতি নিতে হবে। সবকিছু ছাপিয়ে এ রদ জেনো ভালোবাসার প্রতিক। ভালোবাসার মানুষকে এমন একটি যায়গা উপহার দিতে চাইবে যে কেউই।
ধন্যবাদ
পোষ্টটি পড়ার জন্য,
আপনারা ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
UpWeberBD এর সাথেই থাকুন,
ধন্যবাদ।