সহজলভ্য পুষ্টির উৎস হিসেবে ডিমের তুলনা কেবল ডিমই হতে পারে। তাই বাড়িতে বা রেস্তোরাঁয় সকালে বা বিকেলের নাস্তায় কিংবা দুপুর রাতের খাবারে
ডিমের একটা মেনু ঘুরেফিরে আসবেই জেনো।
আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ডিম খাওয়ার কিছু বিশ্বয়কর উপকারিতা দিক সম্পর্কে।
যা আপনাদের অবশ্যই জেনে রাখা দরকার।
তাই আসুন জেনে নেই ডিমের অপকারিতা দিক সম্পর্কে।
ডিম কেনো উপকারী।
থাকে ১৪৩ ক্যালোরির মতো আবার কার্বোহাইড্রেট থাকে ০.৭২ গ্রামের মতো। প্রোটিন থাকে ১২.৫৬ গ্রামের মতো মতো,ফ্যাট থাকে ৯.৫১ গ্রামের মতো,এছাড়াও
ফসফরাস থাকে ১৯৮ মিলিগ্রাম,পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম,জিংক থাকে ১.২৯ মিলিগ্রাম।
এসবে আসলে ডিমের পুষ্টিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
যেমন:
১.খাদ্যকে এনার্জি বা শক্তিতে রুপান্তরিত করতে প্রতিদিন সকালে ডিম সেদ্ধ খেলে আপনাদের এনার্জি ঠিক থাকবে।
২.জানেন কি মেয়ের শরিরের জন্য প্রতিদিন ৫০% থেকে ৬০% প্রোটিন দরকার হয়। যেটা ডিম থেকে পাওয়া যায়। ডিমে থাকে ৮০-৮৫ ক্যালোরি যা ৬.৫ গ্রাম
প্রোটিনের সমান। তাই সুস্থ থাকতে মেয়েদের রোজ ডিম খাওয়া প্রয়োজন।
৩.ডিম লোহিত রক্ত কণিকা বাড়াতেও সাহায্য করে তাই রোজ নিয়ম করে ডিম খান। তাছাড়াও আমাদের শরীরের সার্বিক সুস্থতায় কোলাইনের আমাদের জন্য
খুবই প্রয়োজন। কোলাইনের ঘাটতি হলে লিভারের নানান সমস্যা বা নিউরাজিক্যাল ওর্ডার হয়ে থাকে।ডিমে প্রায় ২০০-৩৫০ মাইক্রোগ্রাম কোলাইন থাকে তাই
ডিম খেলে লিভার,স্নায়ু,যকৃৎ সব ভালো থাকে।
৪.আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন যেমন খুব দরকারী তা তো আমরা জানি।কিন্তু এটি কি জানেন। যে এই প্রোটিনের মূল উৎস কি।সেটা হলো এমাইনো এসিড।
প্রোটিন তৈরিতে ২১ ধরনের এমাইনো এসিড লাগে যার মধ্যে নয়টি শরীরের মধ্যে তৈরী হতে পারে না। এর জন্য বাইরে থেকে প্রোটিনের যোগান দিতে হয়।
সেজন্য যোগান দেয় ডিম।তাই ডিম কতটা উপকারী বুঝতেই পারছেন।
৫.অনেকের কমন সমস্যা হলো নখ ভেঙ্গে যাওয়া। নখ নানা কারণেই ভেঙ্গে যেতে পারে। একটি বড় কারণ হচ্ছে ঠিকমতো যত্ন না করা। কিন্তু ভেতর থেকেও
একটি জিনিসের ঘাটতি থাকলেও নখ দুর্বল হয়ে ভেঙ্গে যেতে পারে।সে উপাদান হলো সালফার।নখের জন্য সালফার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ডিম হলো এই
সালফারের উৎস। আর শুধু মজবুত নয়,নখকে সুন্দর এবং সাদাও রাখে সালফার। তাই নিশ্চিন্তে ডিম খান।
৬.ওজন অনেকসময় বেড়ে যায় আমাদের অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে। আর আমরা অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি অতিরিক্ত খিদে পেয়ে যায় বলে।ডিম আসলেই এই
অতিরিক্ত খিদে হতে দেয়না। একটি ডিম শরীর থেকে ৪০০ ক্যালোরির মতো কমাতে পারে।তাই ওজন কমাতে ডিম খান।
৭.আজকাল কম বয়সে আমাদের বাতের সমস্যা হয়। এর মূল কারণ আমাদের হাড় শক্তিশালী না হওয়া বা ক্ষয় হয়ে যাওয়া।হাড় মজবুত করতে একান্ত
দরকারফ সফরাস। ফসফরাস খাবার দাত মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই অনেকদিন পযন্ত হাড়ের মজবুতি ধরে রাখতে আর বিন্দাস মাংশের হাড় চিবুতে
চাইলে রোজ ডিম খান।
৮.হার্টি তো আমাদের সব। তাই একে সুস্থ তো রাখতেই হবে।এক সমিক্ষায় জানা গেছে যে,ডিম হার্টের রক্ত জমাট বাঁধতে দেয়না।তাই হার্ট এট্যাক বা স্টোক কম
হয় নিয়মিত ডিম খেলে। এর পাশাপাশি সারা শরীরের রক্ত চলাচল সচল স্বাভাবিক রাখে।আবার রেখা গেছে,আজকাল তো বয়স হলে নয় কম বয়সে অনেকের
পেশিতে ব্যাথা হতে থাকে। পেশির জন্য খুব উপকারী ভিটামিন ডি। যা খুব বেশি ডিমে পাই আমরা।তাই ডিম খেলে আমাদের পেশির মজবুত হয়।নিয়মিত ব্যয়াম
করলে তাই ডিম খেতে বলা হয়।
৯.ক্যান্সার তো প্রায় মহামারি হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে এই রোগ।আর এই রোগের চিকিৎসাও এতো ব্যায়বহুল যে তা অনেকের সাধ্যের বাইরে।তাই খুব ভালো
হয়না যদি ডিম খেয়ে আমরা এই সম্ভাবনা কমাতে পারি। ডিমে থাকা ভিটামিন ই আমাদের ত্বকে থাকা কোষে ফ্রিরেজিক্যাল ধংস করে দেয়। তাই ক্যান্সার কম
হয়।
এছাড়াও নতুন কোষ তৈরী হতেও সাহায্য করে থাকে। এরোলেশন প্রিয়ডে নিয়মিত ডিম খেলে যেবন মাত্র ছয় দিনে হয়।তাহলে ব্রেষ্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা
অনেক কমে যায়।
১০.ডিমে থাকে ডিটামিন এ,যা আমাদেরকে চোখের জন্য বেশ ভালো। আমাদের দৃষ্টি শক্তিতে উন্নত করে ভিটামিন এ। এছাড়া ডিমে থাকা ক্যারোটিনয়েড আর
লুটেন্ড বয়স হয়ে গেলে চোখের এক বড় সমস্যা। মেকুলার ডিজেনারেশেন হওয়ার সম্ভবনাও কমায়। ছানিও কম হওয়ার দিকে থাকে। এইবার আপনারা জেনে
গেলেন যে ডিম খেলে আপনার শরীরের কোন কোন দিক থেকে উপকার পেয়ে থাকে।তাই সুস্থ থাকতে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ধন্যবাদ,
পোষ্টটি পড়ার জন্য,
আপনারা ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
UpWeberBD এর সাথেই থাকুন,
ধন্যবাদ ।