নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে আমাজন,কবে নাগাদ ঘটছে এমন বিপর্যয়!

আমাজান পৃথিবীর ২০% ভাগ অক্সিজেন আসে এই বন থেকে। এ কারণেই এ বনকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। আর এ

ফুসফুসকে মানুষ ধ্বংস করে চলেছে অবলিলায়। তবে মানুষের হাত থেকে সেরা বিলাশি শক্তির শিরোপা ছিনিয়ে নিতে আসছে

জলবায়ু পরিবর্তন। আমাজন বন ধ্বংসে তার প্রভাবি এখন প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে বলে আভাস দিয়েছে বিজ্ঞানীরা।

 

মানুষের কুঠারের বনের শেষ মহা বিক্ষ ধরাসাই হওয়ার আগেই চুরান্ত আঘাতটি হানবে জলবায়ু পরিবর্তন। সর্বশেষ ২০১৮ সালেই

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে আমাজন আর মাত্র ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বন উজাড় সহ্য করতে পারবে। তারপর বৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয়

আদ্রতা তৈরির ক্ষমতা হারিয়ে পরিনত হতে থাকবে শুস্ক বাস্তুসংস্থানে। এছাড়াও একজন গবেষক ইতোমধ্যেই আমাজনের মৃত্যুর

সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ২০৬৪ সালে আমাজন চিরোতরে নিশ্চিহ্ন হবে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

এ জেনো মানব সভ্যতার ও বিরুপ জলবায়ুর মধ্যে আমাজন গ্রাসের এক সর্বনাশা লড়াই। এমনটা জানিয়েছেন সংখ্যা তাত্ত্বিক ভৌগলিক

বিশেষজ্ঞ রবার্ট ওয়াগা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লেরিডার ফর লাতিন আমেরিকার সেন্টার ফর লাতিন আমেরিকার

স্টাডিজের একজন গবেষক । ২০৬৪ সালের দিনক্ষণ তিনিই দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে তা মন্তব্য অহেতুক ভয় দেখাতে বারাবাড়ি

কথাবলা তার উদ্দেশ্য নয়। তিনি জানান যে, সবগুলো প্রভাবক আমলে নিলে দেখা যায় যে এসব বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে আসা

অসহনীয় এবং ঘনঘন পরিবর্তনের কারণে আমাজন ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে না। হারাবে বন বিস্তারের গতি ।

ব্যহত হবে নানান প্রজাতির গাছের বংশবিস্তার। পূর্ণ বয়স্ক গাছের মধ্যে দেখা দিবে ভয়াবহ মরু। সবুজের সারি হবে স্বশানের বিরাগ

ভূমি। মানুষ যে সর্বনাশ ডেকে এনেছে। তার বহুগুন মূল্য এই জনমেশোধ করতে হবে। তাই মানুষকে সচেতন হতে হবে। আমাজন

শুধু নয়, বাংলাদেশের মতো দেশেও বনভূমি রক্ষায় নিতে হবে কার্যকরী উদ্যোগ।

সবুজ রক্ষা এবং সবুজ বর্ধনে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে আমাদের সবাইকে। সরকারি এবং ব্যাক্তি উদ্দোগে বন সৃষ্টির কার্যকরী

উদ্দোগ হাতে নিতে হবে। ফলজ,বনজ,ঔষধি ছাড়াও অন্যন্য প্রজাতির বৃক্ষ ব্যক্তি উদ্দোগে রোপন করতে হবে। রাস্তা ঘাটের

শোভাবর্ধনের জন্যও বৃক্ষরোপন করা যেতে পারে।

ধন্যবাদ

পোষ্টটি পড়ার জন্য।

আপনারা ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,

UpWeberBD এর সাথেই থাকুন।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment